আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বৈধ ও অবৈধ সকল অভিবাসী কর্মীদের বিনামূল্যে কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি সকল বিদেশি অভিবাসীদেরও একসাথেই এই টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব বিদেশিদের করোনা ভাইরাসের টিকা না দিলে করেনা মহামারি দমন করা সম্ভব হবে না। কারন তাদের মধ্যে সংক্রমনের প্রাদূর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকেও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আদাম বাবা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এলক্ষ্যে সরকার কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ি কাজ করছে। ইতিমধ্যে পেনাং প্রদেশে ১০০ টি ক্লিনিক প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রী পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈধ বিদেশি অবিবাসীদের পাশাপাশি অবৈধদেরও টিকা দেওয়া হবে। মালয়েশিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মালয়েশিয়া সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের কোভিট- ১৯ ভ্যাকসিন চুক্তি অনুযায়ি ক্রয় সম্পন্ন করেছে। আশা করা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এই টিকার প্রথম চালান দেশে এসে পৌছাবে। তখন যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিন গনহারে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং এই টিকা কার্যক্রমে শরনার্থী রোহিঙ্গারা ও বাদ যাবে না।
মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ক মন্ত্রী খয়রি জামালউদ্দিন আজ পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় কোভিড -১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রমে আওতাভুক্ত করা হয়েছে যেমন, বিদেশীদের মধ্যে কূটনীতিক, প্রবাসী, শিক্ষার্থী, বিদেশী স্বামী ও শিশু, বিদেশী সব সেক্টরের কর্মী ও শ্রমিক, ইউএনএইচসিআর (শরনার্থী) কার্ডধারীরা।
মালয়েশিয়ায় করোনা মোকাবিলায় চলছে জরুরি অবস্থা ও লকডাউন। গত বছরের চেয়ে এবার তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার আক্রমণ ছিল ভয়াবহ। দেশটিতে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে ধরানা করা হয় প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী রয়েছেন। এই মহামারির কারণে দেশে যারা ছুটিতে আছেন তারা মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারছেন না এবং যারা মালয়েশিয়ায় আছেন তারাও ছুটিতে দেশে যেতে পারছেন না। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান চলমান থাকলেও মালয়েশিয়ায় এখনো শুরু হয়নি। আশা করা যাচ্ছে শ্রীঘ্রই এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।