খুলনা প্রতিনিধি:
‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা পাবলিক কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা ঢাকা শিশু একাডেমি প্রান্ত হতে অনলাইনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁরই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে চলেছেন। তিনিই ২০১০ সালে জয়িতা সম্মাননা চালু করেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ও বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। এসময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দ রবিউল আলম, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবদুল মোক্তাদের, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নার্গিস ফাতেমা জামিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে প্রধান অতিথির পক্ষে পুরস্কারের চেক, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলা হতে নির্বাচিত ৫০ জন জয়িতার মধ্য হতে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহের লাভলী ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নড়াইলের ড. শেখ মুসলিমা মুন, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে খুলনার রাবেয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ক্যাটাগরিতে নড়াইলের সানজিদা রহমান আদরী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে খুলনার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। এসময় নির্বাচিত পাঁচজন রানার-আপ জয়িতা এবং খুলনা বিভাগের জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত সকল জয়িতাকে সম্মাননা স্মারক, পুরস্কারের চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।