আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম ও মানব পাচার বন্ধে গাইড লাইন তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আই এল ও) এবং মালয়েশিয়া সরকার। এই রেফারেল গাইড লাইনটি মালয়েশিয়ায় যে কোন দেশি বা বিদেশি শ্রমিক বা কর্মীকে নিয়োগকর্তা বা কোন ব্যক্তি জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করলে বা এ উদ্দেশ্যে পাচারের শিকার হলে মালয়েশিয়ার পুলিশ, শ্রম দপ্তর, মানব পাচার প্রতিরোধ কাউন্সিল, ট্রেড ইউনিয়ন এবং নির্ধারিত বেসরকারি সংস্থায় রিপোর্ট করতে পারবে। কিউ আর কোড স্ক্যান করলে নাম জানা যাবে। সংস্থাগুলো কর্মীর বিষয়ে কিভাবে কাজ করবে এবং তথ্য ও কর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে।
ফ্রন্ট-লাইন পরিষেবা সরবরাহকারীর গাইড লাইন অনুযায়ী ৫টি প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে: (১) সম্ভাব্য মামলার প্রতিবেদন করা; (২) সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অধিকতর তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই; (৩) ভুক্তভোগীর চাহিদা মূল্যায়ন; (৪) মামলার রেফারেল তৈরি; এবং (৫) উল্লিখিত মামলার ব্যবস্থা নেওয়া। প্রতিটি অপরাধ সম্পর্কে সুস্পষ্ট গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে।
গাইড লাইনে মানব পাচার সম্পর্কে মালয়েশিয়ার এন্টি ট্রাফিকিং ইন পারসন এন্ড এন্টি স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্ট আইন ২০০৭ উল্লেখ করা হয়েছে যে,”trafficking in persons means all actions involved in acquiring or maintaining the labour or services of a person through coercion, and includes the act of recruiting, conveying, transferring, harbouring, providing or receiving a person for the purposes of this act.” এ আইন অনুযায়ী কোন ব্যাক্তিকে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে নিয়োগ করে, পৌঁছে দেয় (conveying), স্থানান্তর করা/পরিবহন করে (transferring), আশ্রয়/কোথাও রেখে দেওয়া (harbouring) এবং গ্রহণ করে (receiving ) অপরাধ হিসেবে গণ্য। এছাড়াও এতুদ্দেশ্যে বল প্রয়োগ করে বা হুমকি দেয়, জোর জবরদস্তি করে, অপহরণ করে , প্রতারণা করা, ভুল তথ্য দিয়ে প্রলুব্ধ করে, দুর্বলতার সুযোগ নেয়, এ থেকে আয় করে এবং শোষণ করে তাহলে যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন তা মানব পাচার এবং অভিবাসী স্মাগলিং অপরাধ সংঘটিত হবে। এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বিভিন্ন এনজিও বিভিন্ন সময় বলেছে।
জবরদস্তি মূলক শ্রমের বিষয়টি সম্পর্কে গাইড লাইনে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ all work or service which is exacted from any person under the menace of any penalty and for which the said person has not offered himself [or herself] voluntarily. ‘ILO Forced labour Convention, ১৯৩০ [যে সমস্ত কাজ বা পরিষেবা/সার্ভিস যা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোন শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা ভয় দেখিয়ে বা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে জোর করে নেওয়া হয় এবং যার জন্য উক্ত ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সম্মতি জ্ঞাপন করেনি এমন ঘটনা ফোর্সড লেবার হিসেবে চিহ্নিত। (আইএলও বাধ্যতামূলক শ্রম সম্মেলন, ১৯৩০)] এ ধরনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে আমেরিকা ও ইউ কে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যে কেউ গাইড লাইনে উল্লিখিত ২২ টির মধ্যে যে কোন একটি ঘটনা দেখলেই বা নিজের ক্ষেত্রে ঘটলে কোড স্ক্যান করে তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তথ্য দাতার তথ্য গোপন রাখার শর্ত রয়েছে।
২২ টি তথ্য হলো: কর্মক্ষেত্রে প্রকৃতি ( কাজ, বেতন, আবাসন, নিরাপত্তা) এবং শর্ত সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল (বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে দেশে এরূপ করা হয়েছে); পাসপোর্ট, আইনী বা অন্যান্য মূল্যবান কাগজপত্র আটকে রাখা; শারীরিক বা যৌন নির্যাতন/ সহিংসতা; সংবেদনশীল শব্দ বা মৌখিক/কথার দ্বারা নির্যাতন; নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহিংসতার হুমকি; কাগজ পত্রের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে (পুলিশ বা ইমিগ্রেশন) জানাতে বা ধরিয়ে দিতে হুমকি দেওয়া; বাড়িতে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া; কাজের অনুমতি বা ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন না করার হুমকি দেওয়া, ঋণ বা ধারদেনা করলে তা বৃদ্ধির হুমকি দেওয়া, কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্ট) করার হুমকি দেওয়া, অনুপযুক্ত শর্তাদির জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি বা নিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান, অতিরিক্ত রিক্রুটিং ফিস দিয়েছে, বেতন আটকানো, অন্যায়ভাবে বেতন থেকে টাকা কাটা, অবরুদ্ধ থাকা, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে না দেওয়া, অতিরিক্ত কাজ করান, ছুটির দিন উপভোগ করতে না দেওয়া বা ছুটি নেওয়ার অনুমতি নেই, জীবনযাত্রার/ বসবাসের অবনতি ঘটছে এবং পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী নিজেই এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে উপরের বিষয়গুলো অনেক আগে থেকেই যাচাই করছেন।
উল্লেখিত ২২ টি পয়েন্টের মধ্যে অতিরিক্ত শ্রম, বেতন কম, ওভারটাইম না পাওয়া, ছুটির দিনেও কাজ করা, ঋণ করে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে আসা, অতিরিক্ত রিক্রুটিং খরচ দেওয়া, দেশে রিক্রুটমেন্ট সময়ে যে কাজের ও বেতনের কথা বলা হয়েছিল তার সাথে মিল না থাকা, দালাল, এবং বাসস্থানের খারাপ অবস্থার তথ্য আমেরিকা কর্তৃক এবং ইউ কের ইউনিভার্সিটি নিউ ক্যাসলের গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফলে আমেরিকা পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য অনুসরণ করে। এরফলে মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের উৎপাদক ও বিনিয়োগকারীরা চরম বিপদ মোকাবেলা করছে। ইতোমধ্যে টপ গ্লোভ, হার্টালেগাসহ্ অন্যান্য কোম্পানি রিক্রুটমেন্ট তথা নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত খরচের বেশি কর্মী দেশে দিয়ে থাকলে সে পরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে এবং এটি চলমান আছে।
সম্প্রতি জহুর প্রদেশের আমেরিকার পণ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর বাসস্থান এবং অতিরিক্ত রিক্রুটমেন্ট খরচ নিয়ে আপত্তি তুলে আমেরিকায় পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
উল্লেখ্য যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়াকে টায়ার ৩ এ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে মালয়েশিয়া সরকার খুব সিরিয়াসলি কাজ করছে এ গাইড লাইন প্রদান তার প্রমাণ। ইতোমধ্যে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় ওয়ার্ক ফর ওয়ার্কার্স নামে একটি অনলাইন অ্যাপ চালু করেছে যার মাধ্যমে দেশী বিদেশী নির্বিশেষে যে কোন কর্মী যে কোন সময় কর্মক্ষেত্রের অসুবিধা, বঞ্চনার এবং নির্যাতন সম্পর্কে জানাতে পারছে; কর্মীরা প্রতিকার পাচ্ছে।
বিভিন্ন সময়ে ইমিগ্রেশনের অভিযানে প্রায়শঃ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তাদের সম্পর্কে ইমিগ্রেশন জানায় যে, ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট না থাকা, অন্য কোথাও কাজ করে ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ এবং নিয়োগ কর্তা থেকে পালিয়ে আসার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। যারা জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
এসব অপরাধ সংঘটনের মূলে উল্লিখিত মানব পাচার ও জবরদস্তির শ্রমের সূত্র রয়েছে। ফলে এসকল তথ্যও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মানব পাচার ও জবরদস্তির শ্রমের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি কর্মীদের কোন ক্রিমিনাল অপরাধ নাই।
মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন ও বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস মানব পাচার সম্পর্কে ‘মাছের মতো মানুষ বিক্রি’ শিরোনামে ১২১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তারা, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মানব পাচারের ঘটনাবলী পর্যালোচনা করে ‘পাচারের ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এতে বলা হয়, ভালো আয় আর আশ্রয়ের প্রলোভনে পাচারকারীরা এসব মানুষকে সমুদ্রপথে পাচার করে। তখনকার
মানবাধিকার কমিশনার জেরাল্ড জোসেফ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মানব পাচার ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবার যে ভয়ানক ও জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে, সেটা যাতে ভবিষ্যতে মালয়েশিয়া বা পৃথিবীর কোথাও না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য, আমেরিকায় পণ্য প্রবেশে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, কোম্পানি কর্তৃক রিক্রুটমেন্ট এর অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদান, মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভিযান, মালয়েশিয়ার টায়ার তিন এ অবনমন এবং আই এল ওর গাইড লাইন অনুযায়ী শ্রম প্রেরণকারী দেশ বা মালয়েশিয়ার জন্য শ্রম উৎসের দেশগুলোর করণীয় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন।
অন্যতম উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রান্তে রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় একজন যুবক যুক্ত হবার ক্ষেত্রে আই এল ওর গাইড লাইন উল্লেখিত কি কি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সে বিষয়ে এন আরবির চেয়ারম্যান এম এস সেকিল চৌধূরী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য Deception and debt bondage বাংলাদেশে সংঘটিত হয়। প্রথমটা কাজ, বেতন, সুযোগ সুবিধা, ভিসা, সেদেশে অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে তাদেরকে মিথ্যা, বিকৃত, ভুয়া এবং অসত্য আশ্বাস দিয়ে প্রলুব্ধ করা হয় যার সাথে বাস্তবতার মিল থাকে না। ফলে কোম্পানি থেকে পালিয়ে যায়। দ্বিতীয়টি দেশ ত্যাগের আগেই বাধ্য হয়ে করতে হয় এজন্য যে, অতিরিক্ত অর্থ খরচ না করলে সে চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে পারবে না। তাই ঋণ করে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হয়।
এর ফলে ডেস্টিনেশন দেশে গিয়ে বিপদে পড়ছে। এই চিত্র শুধু মালয়েশিয়া নয় অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও আছে।’ নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং যৌক্তিক মাইগ্রেশন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ যাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা পাচারের শিকার না হয় এবং বিদেশে গিয়ে প্রতারিত না হয়, এ বিষয়ে অভিবাসন বিষয়ক সাংবাদিক মিরাজ হোসেন গাজী বলেন, ‘নিরাপদ ও যৌক্তিক অভিবাসনে সরকার খুবই আন্তরিক, ফলে বেশ কিছু আইন করে অভিবাসী ও পরিবারের সুরক্ষা দিয়েছে। নানান নিয়ম কানুন, প্রশিক্ষণ ও প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করছে।
মালয়েশিয়া সরকার কর্মীর অধিকার সুরক্ষার যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে এতে মালয়েশিয়ায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মীরাও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে আশাকরি। তবে এই উপকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূমিকা যেমন আছে তেমনি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মিডিয়ার সচেষ্ট হবার দরকার আছে।’
বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার আইন করেছে যা যেকোন দেশের সাথে কর্মী নিয়োজন চুক্তি করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অনুসরণ করা হয়। মানব পাচার ও জবরদস্তি মূলক শ্রমের যে ঘটনা ঘটে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে উদ্বেগের সাথে বলেছিলেন,’ যারা বিদেশে যাবে আমি দেখেছি যে, তারা ধোঁকায় পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। আর টাকা খরচ করতে যেয়ে ভিটে, মাটি, জমি-জিরাত সব বিক্রি করে অথবা বন্ধক রাখে। কিন্তু যে সোনার হরিণ ধরবার জন্য বিদেশে ছোটে সেখানে যেয়ে দেখে যে হয়তো সে বেতনও পাচ্ছে না, আরো মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।
একদিকে যেমন নিজেদের সম্পত্তি হারানো, অপরদিকে সেখানে যেয়ে উপযুক্ত কাজের অভাব। এই ধরনের অবস্থাও তাদের আমরা দেখেছি।’ একই বক্তব্যে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেজন্য এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মরত বা বিদেশে কর্মী প্রেরণে যে সমস্ত সংগঠনগুলি (রিক্রুটিং এজেন্সি) আছেন তাদেরকে আমি এইটুকু অনুরোধ করবো যে, আপনাদেরকে দায়িত্বশীলতার ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ দায়িত্বটা আপনাদের উপরে বর্তায়।’
আই এল ও এবং মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত যে উদ্যেগ নিয়েছে, এ উদ্যেগকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আই এলও এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মনিরুস সালেহীন।
তাই শুধু মালয়েশিয়া এককভাবে নয় বাংলাদেশ প্রান্তেও মানব পাচার ও জবদস্তির শ্রম বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।