আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
সেন্টার ফর এনআরবি’র ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন- করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। কঠিন সময়ে গ্লোবাল ভিলেজে থাকা সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে নতুন পৃথিবীর জন্য। এর এতে জাতিসংঘের সব সদস্যকে আশা জাগানিয়া এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় সকালে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা) ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় ‘নতুন আশায় নতুন পৃথিবী: জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ” শীর্ষক ওই ওয়েবিনারের উদ্বোধক ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে আশা। এবারে দুটি বিষয়ে আশাব্যঞ্জক আলোচনা হচ্ছে, এক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, দুই করোনা টিকাকে পাবলিক গুডস হিসেবে ঘোষণা করা। দ্বিতীয়ত: রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এবং আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এটা আমাদের তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য খুবই জরুরি।
বাংলাদেশে আরও বেশি প্রবাসী বিনিয়োগ আহ্বান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার আপনাদের সহায়তা দিতে তৈরি আছে। আপনারাও এগিয়ে আসুন। এতে আমরা উভয়ে লাভবান হবো। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, প্রবাসীদের অর্জিত আয় দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। করোনাকালে প্রবাসীদের জীবিকা সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো আজ ক্ষতির মুখে রয়েছে। তাই অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থে সমন্বিত পদক্ষেপ থাকা উচিত।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে ২০১৯ সালে দ্বিপক্ষী বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯শ কোটি ডলার। তাই বাংলাদেশে ব্যবসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। করোনাকালে বাংলাদেশের তৈরি পিপিপি যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দেয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন মার্কিন দূত। ওয়েবিনারে দেয়া বক্তৃতায় ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার এসডিজির জন্য যে পুরস্কার পেয়েছেন তা আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত স্বীকৃতির স্মারক। জাতিসংঘ মহাসচিব সাধারণ পরিষদের বক্তৃতায় কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন- এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ থাকা জরুরি। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও নাজনীন আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।