আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ৫০ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর দূতাবাসের হলরুমে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে হাই কমিশনার মো: গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল অমিনের পরিচালনায় পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত ও শহদিদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ, প্রধান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর মো: জহিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর (২) মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল ও পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সিলর মো: মশিউর রহমান তালুকদার।
মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার তার বক্তব্যে বলেন, হাইকমিশনার স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে আজকে একটি বিশেষ দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। মহান স্বাধীনতা দিবসে ‘আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ।
হাইকমিশনার বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সাথে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অনন্য উচ্ছতায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্ককে আরোওউন্নতর করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে দেশ গঠনে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।
জাতীয় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর, কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো: মাসুদ হোসাইন, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মো: রাজিবুল আহসান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব ফরিদ আহমদ সহ দূতাবাসের সকল স্থরের কর্মকর্তা-কর্মচারি বৃন্দ। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষন, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ৭১ এ বাংলাদেশের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধের কারণে অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।
শেষে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্টানে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তীতে কেক কাটেন হাইকমিশনার গোলা সারওয়ার।