আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মহামারি করোনা বিশ্বজুড়ে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেই, থামছেনা কিছুতেই। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে কমছেইনা প্রাণহানি ও সংক্রমণের হার। জারি করা কঠোর বিধি-নিষেধের পরেও দিন দিন উর্ধগতি হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফ। আর এ ভাইরাসের ভয়াল থাবায় গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৫ হাজার ৪৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র জুন’ মাসেই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশি। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন, ৬ হাজার ৪৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫২ জন।
এ দিকে ৪ জুলাই মোহাম্মদ ওয়াসিম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সকালে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরন করেন।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ২৮ মে পর্যন্ত সে দেশে বসবাসরত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৬ জন অভিবাসীর করোনা পরীক্ষা করে শনাক্ত করা হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৮ জনকে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ জন। মৃত্যবরন করেছেন ১৯২ জন।
শনাক্তের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন, ৬৬ হাজার ৯৫৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, ২,৮৮২ জন। ৭ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ভয়াল করোনায় ৩৮ জন বাংলাদেশি মৃত্যবরন করেছেন।
এ দিকে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ কার্যকর করতে মালয়েশিয়ায় কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মানতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন।
এ ছাড়া লকডাউনে যে সব প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের অপব্যবহার করছে কি না, তা যাচাই করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। একই সঙ্গে দেশজুড়ে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বসানো হয়েছে অস্থায়ী রোড ব্লকও।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন সময় মোকাবিলা করছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে থাকা অভিবাসী কর্মীরা। মহামারিকালে প্রশ্নবিদ্ধ তাদের জীবনযাত্রার মান। মহামারিতে জারি করা নানা নিয়মনীতিতে জীবনের চাকা সচল রাখতে কঠিন সময় পার করছেন অভিবাসী কর্মীরা।