এমএ আবির:
ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা পরবর্তী শিক্ষার্থীদের খবরাখবর জানতে গিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ‘সত্যের দিগন্ত’র সম্পাদক ও জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর আলী আজমকে আটক করে পুলিশে দিলেন শিক্ষকরা। এ ঘটনায় ঐ সম্পাদকসহ দৈনিক ভোরের ডাকের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান রনির বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়। জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সারাদেশে বিভাগীয়, মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানাগেছে, আশুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গত ১১ ও ১৮ মে ২০২১ তারিখে ‘সত্যের দিগন্ত’ পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত, ‘আশুগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে থার্মাল স্কেনার ক্রয়ে-২ লক্ষ টাকা হরিলুট’ এবং ‘প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায়’ এই শিরোনমে দূর্নীতি নিউজই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সিনিয়র সাংবাদিক প্রফেসর আলী আজমের। পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক আলী আজম কে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
৪০ সেকেন্ড এর একটি ভিডিওতে দেখাগেছে, স্কুলে সাংবাদিক এসেছে শুনে সকাল ৯.৩০ মিনিটে পতাকা উত্তোলন করতে ও শিক্ষকরা দৌড়ে স্কুলের প্রবেশ করতে।
কোনরুপ যাচাই বাছাই ছাড়া এরুপ স্পর্শকাতর মামলায় একজন সম্পাদককে আটক এবং অপর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি (জেএসকেএফ) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও মহাসচিব এম এ আবির। উক্ত ঘটনাটি সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করে সংগঠনটির মহাসচিব, এম এ আবির বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ খবর সংগ্রহ করা। তাই বলে আশুগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক সবার পরিচিত মুখ প্রফেসর আলী আজম কে মিথ্যা মামলায় পুলিশ দিয়ে আটক করে হয়রানি করা মানে সাংবাদিক সমাজকে কলুষিত করা।’ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করতে হলে তা প্রেস কাউন্সিলেই করার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার প্রত্যাহার সহ, সাংবাদিক আলী আজম কে স্ব-সম্মানে মুক্তি দিতে হবে। এই হয়রানির মামলার সাথে জড়িত উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকতা, শিক্ষক, স্কুল কমিটির সদস্য সহ যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত তাদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।