আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়ার (বিএসইউএম)। উদ্যোগে ৭ নভেম্বর রবিবার আয়োজন করা হয়েছিল হাইকিং ট্যুরের।
কুয়ালামপুর শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে রাওয়াংয়ের কানচিং জলপ্রপাতকে হাইকিংয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ট্যুরে অংশগ্রহণ করেছিল ৩০-৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী। ট্যুরের সংবাদ কভারেজের জন্য বিএসইউএম বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়াকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি, ডেইলি অবজারভার ও নয়া দিগন্তের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মো: আশরাফুল মামুনকে পাঠানো হয়েছিল। ট্যুরে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়া সময় বিকেল ৪ টায় মামুন মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। দৃর্ঘটনা স্থল থেকে এম্বুলেন্সে করে তাকে প্রথমে সেলায়াং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মালায়া ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। কর্তব্যরত ডাক্তার মামুনের চিকিৎসা সম্পন্ন করেন। সেখান থেকে রাত ১২ টায় মামুনকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরই মধ্যে মামুনের মুটর সাইকেল দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। শুভাকাঙ্খিরা খোজঁ নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। পাশাপাশি বিএসইউএম এর নেতারাও দু:খ প্রকাশ করে মামুনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
এ দিকে রবিবার রাত ১২ টা থেকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারও খোজঁ নিতে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় হাইকমিশনারের নির্দেশে হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারি মো. মুকছেদ আলী ও কাশেম, মামুনের বাসায় এসে দেখে গেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আহমাদুল কবির, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: আরিফুল ইসলাম।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারের এ মানবিকতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার নেতৃবৃন্দ।