মোহাম্মদ আলী, বিশেষ প্রতিনিধি:
পাবনা জেলার সন্ত্রাসীদের উর্বর ঠিকানা হিসাবে খ্যাত আতাইকুলা থানা, যেখানে ইতিপূর্বে সন্ত্রাসীদের রয়েছে বিভিন্ন রাজত্বের নজির। আর এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হস্তে দমেনে চেঞ্জমেকার হিসাবে কাজ করেছেন আতাইকুলা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মো: জালাল উদ্দিন। যিনি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন নিম্ন-দরিদ্র অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষদের।
প্রায় দেড় যুগের আধিপত্য চাঁদাবাজি প্রথা ভেঙ্গে এক সাহসি চ্যালেঞ্জিং করেছেন। জানা যায়, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের আতাইকুলা, মাধপুর, বনগ্রাম, কুচিয়ামোড়া, পুস্পপাড়া, গংগারামপুরসহ বিভিন্ন বাজারে গ্রামীন জনপদের অন্যতম প্রধান বাহন অটোভ্যান, আটোবাইক, সবুজ সিএনজি ও লেগুনা। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মধ্যে পাবনা একটি কৃষি প্রধান জেলা। তার মধ্যে আতাইকুলা, সাঁথিয়া, সুজানগরসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসব যানবাহনে কৃষি পন্যসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে হাটে বাজারে আসেন সাধারণ মানুষ।
বেশ কিছু অসৎ লোক রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গড়ে তোলে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দল। আর এই সমস্ত সিন্ডিকেটের লোকেরাই আতাইকুলা, মাধপুর, বনগ্রাম, পুষ্পপাড়া, কুচিয়ামোড়াসহ বেশ কয়েকটি বাজারের বাসস্ট্যান্ড পয়েন্টে প্রতিদিনই ৩০/৩৫ হাজার টাকা প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজি করত। ভ্যান অটোবাইক চালকরা টাকা দিতে দেরি করলে চাঁদাবাজরা লাঠি দিয়ে পেটাতো চালকদের এবং কেড়েনেওয়া হতো গাড়ির চাবি। অসহায় চালকদের বোবা কান্নাই ছিলো শুধু শান্তনা। যা দেখে মনে হয়েছে প্রশাসন যেন তাদের কাছে জিম্মি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে প্রতিনিয়তই ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হতো।
আতাইকুলা থানায় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল মো: জালাল উদ্দিন অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কর্মদিবসের শুরুতেই তিনি বিভিন্ন ধরনের চাপ ও বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে মানবিক পুলিশ হিসাবে চাদাবাজি বন্ধ করেন। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া চাঁদাবাজদের কপালে যেন আকাশ ভেঙ্গে বাজ পড়ার মতো। চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ভ্যান চালক ও অটোবাইক চালকদের শান্তির আত্মার ডাক প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভ্যান চালক লোকমান, মাহাতাব, সিদ্দিক, রাকিবসহ আরো অনেকেই বলেন, বর্তমান থানার ওসি স্যার মনে হয় অনেক ভালো মানুষ। আমাদের গাড়ীর সামনে এখন আর কেউ লাঠি নিয়ে আসে না। টেকাও আর কেউ চায় না। এর আগে কতবার আমরা তাগোরে হাতে মার খেয়েছি কোন বিচার পায়নি।
এ ব্যাপারে আতাইকুলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম (বাঁধন) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান বর্তমান আতাইকুলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন খুবই ভালো ও চৌকস অফিসার, তার কাছে সকল শ্রেনীর সকল মানুষই সমান, সবার জন্যেই তার দুয়ার সব সময় খোলা।
অফিসার ইনচার্জ মো: জালাল উদ্দিন মুঠো ফোনে জানান, বাংলাদেশ সরকার আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমার জন্য পালন করা কর্তব্য ও দায়িত্ব। আমি আতাইকুলা থানাধীন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদককারবারি চোর, বাটপার, ইফটিজিংকারি ও অসামাজিক কাজে জড়িতদের বলতে চাই আমি আতাইকুলা থানায় যতদিন আছি আপনাদের এই রাজত্ব কখনোই করা সম্ভভ হবে না তাই আপনারা ভুল পথ ছেড়ে ভালো পথে চলে আসুন। আমি আপনাদের পাশে আছি কথা দিলাম।