আইপি চ্যানেল পথিক টিভির উদ্যোক্তা, তথ্য প্রযুক্তি সংগঠন (বিট) এর সেক্রেটারি, সাংবাদিক, কবি ও শিক্ষানবিশ আইনজীবি লিটন হোসাইন জিহাদ এবং চিফ ভিডিও এডিটর সাখাওয়াত হোসেন শাহীনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত।
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে সানিয়া ইসলামের উপস্থাপনায় পথিক টিভির চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের ইংরেজি প্রভাষক রাবেয়া জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এডভোকেট, তৈমুর রেজা শাহজাদ, আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য এড. আবু ইউসুফ, আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি শামিম আহমেদ, পথিক টিভির চেয়ারম্যান রাবেয়া জাহান, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির আহমেদ, আইনজীবী শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক বাবুল সিকদার, কবি সোহাইল আল হাবিব,পথিক টিভির স্টাফ রিপোর্টার জাকির হোসাইন জিকু, কবি গোলাম মুহাম্মদ মোস্তফা, সাংবাদিক ইয়াছিন মাহমুদ, কবি জসিম রজনী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, লিটন হোসাইন জিহাদ নিঃসন্দেহে একজন ভাল মানুষ। তিনি একজন কবি ও সৃষ্টিশীল মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম আইপি চ্যানেল পথিক টিভির উদ্যোক্তা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে তুলতে পথিক টিভির মাধ্যমে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকতায় একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন। বক্তারা আরো বলেন একজন কবি এবং সাহিত্যমনা মানুষের বন্দিদশা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
আইনজীবীরা বলেন, তাকে একটি মিথ্যে মামলায় ফাসানো হয়েছে। লিটন হোসাইন জিহাদ একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী এবং আইনের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল আর তাই আদলতে সুবিচারের প্রত্যাশায় ১৫ ই নভেম্বর তিনি আদালতে নিজেকে সমর্পন করেন। সেখানে জামিন নামঞ্জুর হওয়াতে আজ তিনি কারাগারে।
মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফুয়াদ, বায়জিদ হেলাল, পথিক টিভির ডেস্ক রিপোর্টার হালিমা খানম, পথিক টিভি’র চিত্র গ্রাহক মনির হোসেন, সুমন চক্রবর্তী, আশরাফুল হক নাঈম, শেখ নিজাম উদ্দিন আনছারী, জাহিদুল ইসলাম,জুনায়েদ, সালমান আব্দুলাহ, তানজিম হাসান শামিম, হিমেল খান, আব্দুলাহ আল শাওন, নরুল্লাহ, জহির মিয়া।
মানববন্ধনটি জেল জজ কোর্ট থেকে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাউতলী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি স্তম্ভের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আইনজীবী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, কবি সাহিত্যকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয় এবং উক্ত স্বারকলিপির অনুলিপি পুলিশ সুপার এবং তথ্য অফিসে প্রদান করা হয়েছে।