আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
ভাগ্যের চাকা সবার হাতে ঘুরতে চায় না। কারো চাকা ভনভন করে ঘোরে, কারোটা জয়নুল আবেদীনের কালজয়ী চিত্র ‘সংগ্রামে’র মতো তাঁদের ভাগ্যের চাকা গর্তকাদায় আটকে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো: সামাউল আলী, বয়স ৫৩ বছর। ২০০৮ সালে প্ল্যান্টেশন ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। মালয়েশিয়ার কাজাংয়ে অবস্থিত বিগ থ্রি কোম্পানীতে ক্লিনারের কাজ করতেন। স্ত্রী, মা ও চার মেয়েসহ ভালই চলছিল তার সংসার।
২০১৮ সালের ২৪ জুন কাজে থাকা অবস্থায় লরি দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন সামাউল। কেটে ফেলতে হয়েছে তার দুই পা। এ দিকে দেশে থাকা সামাউলের সূখের সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে সামাউলের পরিবার।
দুর্ঘটনারপর থেকে তিন বছর ধরে ক্ষতি পূরণ আদায়ে চলছে আইনি লড়াই। লইয়ারের তত্বাবধানে একটি হোটেলে অবস্থান করছেন সামাউল। ৩০ জানুয়ারি সামাউল কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন, ‘আমার মা কে দেখার খুব ইচ্ছে করছে। কবে যে শেষ হবে আইনি লড়াই নিজেই জানিনা।’ এদিকে দেশে থাকা সামাউলের চার মেয়ে, মা ও স্ত্রী পথ চেয়ে বসে আছেন কবে আসবেন সামাউল।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আইনি সহায়তায় কি ভূমিকা রাখছে, জানতে চাইলে সামাউল বলেন, হাইকমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমি যখন কাজাং হাসপাতালে ছিলাম তখন মালয়েশিয়ান একজন লোক আমাকে সহায়তা করেছেন। উকিল নিয়ে এসেছেন তিনি। আজ তিন বছর হয় ক্ষতিপূরণ আদায়ে আদালতে চলছে আইনি লড়াই।