পরমাণু দুর্ঘটনায় বিকিরণ রোধে সহজ উপায় বের করলেন সানওয়ে ইউনিভার্সিটি গবেষকরা

কালের কলম
2 Min Read
চিত্র: সানওয়ে ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া ও ইনসেট ছবি: গবেষকরা ড. মঈন খন্দকার

আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: 

পরমাণু দুর্ঘটনা পরবর্তী বিকিরণ ডোজ পুননির্মানের সহজ উপায় বের করলেন সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মঈন খন্দকার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, একটি উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে আজকাল অনেক দেশ টেকসই শক্তি উৎপাদনের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে মনোনিবেশ করেছে।

তিনি জানান, পারমাণবিক শক্তির বিশাল লাভ সত্ত্বেও, একটি ঝুঁকি রয়ে গেছে যা মূলত পারমাণবিক জ্বালানী চক্র, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাকৃতিক বা প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা থেকে আসে। যদি তা হয়, তবে আশেপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয় পদার্থের নির্গমন এবং বিস্তারের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন- যা জনগণের কাছে বিকিরণের এক্সপোজার বুঝতে এবং সম্ভাব্য প্রতিকার গ্রহণে সহায়তা করতে পারে।

টয়োটা এবং হোন্ডা ব্র্যান্ডের ব্যক্তিগত গাড়ি সাধারণত বিশ্বব্যাপী পাওয়া যায়। তদুপরি, গাড়িগুলি পারমাণবিক স্থাপনা সহ শিল্প পরিবেশের পরিধিতে স্থির তবে বর্ধমান দূরত্বে পার্ক করা হয়। আমাদের এই পরীক্ষাটিতে অপরিকল্পিত পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে দুর্ঘটনা-পরবর্তী ডোজ পুননির্মানের জন্য গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ব্যবহারের সম্ভাব্যতাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে, তেজস্ক্রিয় ও পারমাণবিক সামগ্রীর অন্যান্য ব্যবহার থেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনাও তদন্ত/অনুসন্ধান করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে, একটি সুবিধাজনক ‘থার্মোলুমিনেসেন্স’ কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, টয়োটা এবং হোন্ডা ব্র্যান্ডের উইন্ডস্ক্রিনগুলি দুর্ঘটনার চার সপ্তাহ পরেও মানুষ এবং আশেপাশের পরিবেশ/প্রতিবেশে বিকিরণ ডোজটি পুনর্গঠন করতে সফলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কাজটি প্রমাণ করেছে যে, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনগুলি একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ডসিমিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বলা বাহুল্য যে এই সুবিধাজনক পদ্ধতিটি পৃথিবীতে এর আগে অনুসন্ধান করা/প্রকাশিত হয়নি।

এই কাজের প্রদর্শিত কৌশল অবলম্বন করে, জাতীয় সংস্থাগুলি এবং নীতিনির্ধারকরা জনগণের কাছে বিকিরণের ডোজের আসল তথ্য পেতে পারেন এবং পরে প্রয়োজনীয় প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। বিস্তারিত তথ্যের লিঙ্ক: https://doi.org/10.3390/app10207127
পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষক প্রফেসর ড. মঈন খন্দকার।

Share This Article
Leave a comment