পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সদরে চাঁদাবাজ, দেহ ব্যবসায়ী, চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের আতংকের নাম সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবুল কালাম। সেখানকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিন। নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায়কারীদের হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন স্বল্প আয়ের অসহায় মানুষদের।
জানাগেছে, পাবনা সদরে কয়েকটি পয়েন্টে নিয়মিত প্রতিদিন ৫০/১০০ টাকা হারে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা আদায় করা হত। বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে শহরের বড় বাজার রোডে সব সময় যানজটের সৃষ্টি হতো। ভ্যান, অটোবাইক চালকরা টাকা দিতে দেরি করলে চাঁদাবাজরা লাঠি দিয়ে পেটাতো চালকদের। কেড়ে নেওয়া হতো গাড়ির চাবি। অসহায় চালকদের বোবা কান্নাই ছিলো শান্তনা।
২০১৯, অক্টোবর মাসে পাবনা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন আবুল কালাম। শুরুতেই তিনি চাপ ও সকল বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে মানবিক পুলিশ হিসাবে চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা বন্ধ, চোরাই হোন্ডা উদ্ধার সহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার, দ্রুত সময়ে হত্যা মামলার পালাতক আসামী গ্রেফতার ও পাবনায় দেহ ব্যবসাসহ নানান অপকর্ম বন্ধ করে অসহায় চালকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি।
শহরের ভ্যান চালক জব্বার, টলি চালক স্বপন, অটো চালক আকরাম ও কাদিরসহ আরো অনেকে বলেন, এবার মনে পাবনার সদর ফাঁড়ির স্যার মনে হয় ভালো মানুষ। আমাদের গাড়ীর সামনে এখন আর কেউ লাঠি নে আসে না। এর আগে চাঁদা দেওয়ার পরও কতবার আমরা তাদের হাতে মার খেয়েছি কোন বিচার পায়নি।
ভুক্তভুগিরা জানিয়েছেন, চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ভ্যান চালক ও অটোবাইক চালকদের আত্মার ডাক বুঝি প্রতিধ্বনিত হয়েছে এবার।
এ বিষয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবুল কালাম এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর নির্দেশনায় পাবনা জেলা পুলিশ যে কোন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাবনা সদরের অপরাধ দমনকল্পে সদর পুলিশ ফাঁড়িসহ আমার টিম নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাম্প্রতিক দেশকাল, দৈনিক লাখোকন্ঠের পাবনা জেলা প্রতিনিধি মো: ফজলুল হকসহ আরও অনেকেই এর সত্যতা স্বীকার করেন।