আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। আমরা কি পেরেছি রহমতের বৃষ্টিতে অবগাহন করতে, মাগফিরাতের সাগরে ভাসতে, আমরা কি পেয়েছি নাজাতের সুবাতাস।
রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস আমাদের মাঝে এসেছিল প্রাচুর্য নিয়ে। এ থেকে আমরা বঞ্চিত হবো, এরকম ভাবতেই কষ্ট হয়।
রমজান আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিদায় শব্দটির সঙ্গে কষ্ট জড়িয়ে আছে। যে কোন বিদায় অনুভূতিতে নাড়া দেয়। রমজান তো তাকওয়া অর্জনের মাস অর্থাৎ খোদাভীতি লাভ। আমরা কি পেরেছি খোদাভীতি হতে। আল্লাহর ভয়ে সব রকম অন্যায়, অপকর্ম, লোভ ছাড়তে পেরেছি কি? তবে রমজান থেকে আমাদের অর্জন কি?
রমজান তো সহনশীল ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা কি আমরা গ্রহণ করতে পেরেছি, না রমজান আসা-যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলো।
নিজেকে শুধরে নেয়ার সময় ছিল রমজান। আমরা কি আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। অর্থাৎ লোভ-লালসা, গিবত, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, আত্ম-অহঙ্কার, মিথ্যা বলা, কার্পণ্য ইত্যাদি থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।
এই রমজানে কুরআন এসেছে আমাদের কল্যাণের জন্য। কুরআনকে কতটুকু ভালোবাসতে পেরেছি। অর্থাৎ এ থেকে কতটুকু আমলে নিতে পেরেছি। মুক্তির মাধ্যম কিন্তু কুরআন। এর আলোকে নিজেকে আলোকিত করতে হবে।
আল্লাহকে পাওয়ার আর একটি মাধ্যম হলো দান। দান হলো পূণ্যের কাজ। অন্য সময়ের চেয়ে রমজানে এক পূণ্যে ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বেশি সওয়াব। এর থেকে আমরা কি লাভ করেছি। টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, জ্ঞান-বুদ্ধি সবই তো আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া। তার সন্তুষ্টির জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করলাম।
আসুন রমজানের যতটুকু সময় আছে এর প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাই। কল্যাণকামী হই এবং আল্লাহর কৃপা লাভ করি এবং রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের পথ ধরে ভালোবাসা অটুট থাকুক মুসলিম জাহানের অন্তরে।