ডেস্ক রিপোর্ট:
চলমান সংকটময় সময়ে প্রবাসীদের সমস্য সমাধানের দাবি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার। শনিবার ১২ জুন মালয়েশিয়া সময় রাত ১০টায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার নিয়মিত ভার্চুয়াল আয়োজন “প্রবাসীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি তুলেন নেতারা।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ সময়ে প্রবাসীদের যে সমস্যাগুলো সামনে এসেছে সেগুলো চিহ্নিত করে সরকারের কাছে আমরা প্রবাসীদের হয়ে তাদের এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিতে একটা দাবি রাখতে পারি। পাশাপাশি যে সব দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে, দ্রুত সময়ে ফ্লাইট চলাচলের সংকট উওরণে কুটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার দাবিও জানান তারা।
এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ছুটিতে থাকা কর্মীদের ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সেজন্য ছুটিতে এসে আটকা পড়া প্রবাসীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টিকা প্রদান করলে তাদের জন্য কাজে ফিরতে অনেকটা সহজতর হবে বলে আলোচকরা আশা ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধূরী, এটিএন বাংলার কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স এডিটর কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রধান শরিফুল হাসান।
অনুষ্ঠানটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
প্রেস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্টাফ করেস পন্ডেন্ট মীর মোহাম্মদ জসীম, কানাডার ইমিগ্রেশন নিউজ ২৪ এর সম্পাদক উজ্জ্বল দাস, অনুপম নিউজ ২৪ ইউকে’র সম্পাদক ও প্রকাশক মুহিব উদ্দিন চৌধূরী, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি, যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তরের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি আহমাদুল কবির, রেড লাইভ নিউজের সম্পাদক তাহমিনা বারী রিনি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়া যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও নিউজ ২৪ ও দৈনিক আমাদের সময়ের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়া’র তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও ‘কালের কলম’ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় গত বছরের মার্চ মাস থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে দেশের সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অনেকেই ছুটিতে গিয়ে আর ফিরে আসতে পারেননি কর্মস্থলে। অন্যদিকে ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা জানেন না কবে তারা কর্মস্থলে আসতে পারবেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন বলে ধারণা সবার।
এ ছাড়া কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এমআরপি সার্ভিসের মাধ্যমে অনলাইনে পাসপোর্টের তথ্যাদি ঢাকায় প্রেরণ করলেও ঢাকা থেকে সময়মতো প্রিন্ট হয়ে পাসপোর্ট মালয়েশিয়ায় না আসায় সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আশায় রয়েছেন কবে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি দেয়ার আহবান জানিয়ে আলোচকরা বলছেন, মালয়েশিযা প্রবাসীরা আগের মতো দ্রুততম পাসপোর্ট হাতে পেয়ে বৈধতার সুযোগ নেবেন এবং অন্যরা ভিসা নবায়ন করে নেবেন।
এবারের বাজেটে রেমিট্যান্স প্রণোদনা শতকরা ২% (দুই) থেকে ৪% (চার) করারও আহবান করা হয়। আহবান করা হয় প্রবাসে কর্মরতদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির ও বিনা খরচে দেশে লাশ পাঠানো সহ সকলের জন্য পেনশন ভাতারও।