মালয়েশিয়ার সঙ্গে এলএনজি সরবরাহে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

কালের কলম
2 Min Read
চিত্র: মালয়েশিয়ার সঙ্গে এলএনজি সরবরাহে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। বাম দিক থেকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী দাতো শ্রী মোস্তফা মোহাম্মদ ও ডানে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, বাংলাদেশের ফেসবুক।

আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: 

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) অনলাইনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের সঙ্গে এ এমওইউ হয়।

এতে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তপা মোহামেদ স্বাক্ষর করেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস এলএনজি লিমিটেড ও গ্লোবাল এলএনজি এসডিএন সম্মিলিতভাবে বাণিজ্যিক শর্তাদি চূড়ান্ত করে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করবে। নন-বাইন্ডিং এ সমঝোতা স্বারকের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে ২ বছর হবে। উভয়পক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই জ্বালানি মিশ্রণে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির অংশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানিও এ জ্বালানি মিশ্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনেই প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন হবে তিন হাজার ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।

‘বর্তমানে দু’টি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) রয়েছে এবং একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যের কারিগর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। তাই সরকার জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম মালয়েশিয়ার সঙ্গে কর্মসংস্থান শ্রমিক, পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মানবপাচার ইত্যাদি বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি/সমঝোতা চুক্তি/প্রোটোকল দ্বারা ২০টি চুক্তি রয়েছে। আজকের এ সমঝোতা স্বারক জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তপা মোহামেদ, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত পোয়ান হাজনা মো. হাশিম সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।

Share This Article
Leave a comment