সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের দেশে প্রেরণ

কালের কলম
3 Min Read

আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: 

চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণ, যে কারণেই হোক না কেন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যান অংসখ্য মানুষ। কিন্তু করোনার কারণে মালয়েশিয়ার সাথে পুনরায় ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের এক নোটিশে মালয়েশিয়া সহ ১১ টি দেশের সাথে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। চলমান উদ্ভট পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা পড়েছেন বিপাকে। ফ্লাইট বন্ধের আগে অনেকেই বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকেট করে রেখেছিলেন দেশে যেতে।

সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশি নাগরিক তিনি দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করতেন ভাল ভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু চলমান মহামারির কারনে সংক্রমণ উওরনে মালয়েশিয়া সরকারের জারি করা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি)। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচানা করা তার পক্ষে সম্ভবপর নয়। গুটিয়ে নিলেন ব্যবসা। দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি। এক মাস আগে ৩ জুনের এয়ার এশিয়ার টিকেট কাটলেন। এমনি সময় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন বন্ধ করে দিল আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট। দুশ্চিন্তায় পড়লেন সাব্বির। ইউ এস বাংলা, মালয়েশিযা এয়ার লাইন্সসহ কয়েকটি বিমানে যোগাযোগ করে ৪ জুনের আগের টিকেট মিলেনি। ৩ জুন পর্যন্ত ছিল তার ভিসার মেয়াদ। শেষমেষ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের টিকেট করলেন ৩ জুনের। মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফিরবেন সাব্বির। ৩ জুন মালয়েশিয়া সময় রাত ৮.৫০ মিনিটের ফ্লাইটে গেলেন সিঙ্গাপুর। ৩২ ঘন্টার ট্রানজিট , পরের দিন ৪ জুন সিঙ্গাপুর সময় ৭.৩৫ স্ন্ধায় ফ্লাইট। বিমানে উঠার আগে বোর্ডিং পাস নেয়ার সময় কর্তৃপক্ষ পাস দিতে অপারগতা। ট্রানজিট ফ্লাইট নেই হাইকমিশনের লেটার। বিমান বন্দরে অপেক্ষমান পরিবারের ৪ সদস্যদের নিয়ে চিন্তায় মগ্ন সাব্বির। এখন কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেননা। মালয়েশিয়ায় থাকা তার ব্যবসায়ী বন্ধু কমিউনিটি নেতা ড. আরিফের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তাকে জানালেন। ড. আরিফ যোগাযোগ করলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কন্স্যুলার সেকশনের কাউন্সিলর জি এম রাসেল রানার সাথে। রাসেল রানা মান্যবর হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারের সাথে বিষয়টি আলোচনা করেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। যেহেতু শুক্রবার বাংলাদেশে ছুটি। সেহেতু অনেক চেষ্টারপর রাসেল রানা হাইকমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে অফিস ছুটির পরেও অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সাব্বিরের পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৫ জনের নামে ছাড়পত্র ইস্যু করেন। এরই মাঝে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর রাসেল রানার সাথে যোগাযোগ করে। উদ্ভট পরিস্থিতিতে হাইকশিশনের এমন সহায়তাকে স্বাগত জানায় এবং প্রসংশা করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। সাব্বির তার পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে মোট ৫ জন এখন বাংলাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

উদ্ভট এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশনের সহায়তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবারত প্রবাসীরা। তারা বলছেন হাইকমিশন প্রবাসীদের কল্যাণে সর্বক্ষেত্রে কাজ করবে এটাই প্রবাসীদের প্রত্যাশা।

Share This Article
Leave a comment