খুলনা প্রতিনিধি:
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন হতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের পেশাগত অসুস্থ শ্রমিক, আহত বা পরিবারবর্গের চিকিৎসা, পেশাগত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু এবং তাদের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষা সহায়তা হিসেবে তিনশ পাঁচজন শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে।
আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চত্ত্বরে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের ছয় জেলার এসকল শ্রমিকদের সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা। খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপপুলিশ কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ এবং খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ বক্তৃতা করেন। স্বাগত জানান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কল্যাণে এধরনের সহায়তা তারই একটি উদাহরণ। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল শ্রমিকদের আপদে বিপদে পাশে আছে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিগত দুই বছরে খুলনা অঞ্চলের ৬টি জেলার খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর ও মাগুরা জেলার প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়েছে অর্ধ কোটি টাকা। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হতে শ্রমিকের কল্যাণে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। করোনাকালীন সময়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চিকিৎসাক্যাম্প টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা আঞ্চলের দুইটি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্ক বিতরণ এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করা হয়।