আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় কথা কাটাকাটির জেরে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক বাংলাদেশীকে হত্যার অভিযোগে আরেক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। তারা দুজনেই একই রুমে বসবাস ও চাকুরী করতেন বলে জানা গেছে। খবরঃ মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ তুয়ানকু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ২১ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সেরেমবান প্রদেশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিহত বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ পলাতক অবস্থায় খুনী বাংলাদেশী ২৯ বছর বয়সী যুবককে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ নিহত বাংলাদেশী ও গ্রেফতার বাংলাদেশী খুনির নাম ঠিকানা প্রকাশ করেনি। মরদেহ পুলিশকে না জানিয়েই দাফন করা হয়েছিলো। পরে নিয়োগকর্তা তার কাজে নিহত ব্যাক্তি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় তখন তাকে খোঁজে না পেয়ে নিয়োগকর্তা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন। তারপরই খুনী পালিয়ে যায় তখন পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুনীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যার কথা স্বীকার করে।
সেরেম্বান থানার প্রধান সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইদ ইব্রাহিম বলেছেন, এখানকার তামান মুতিয়ারা গাল্লায় একটি নির্মাণ সাইটে দাফন করা হয় এবং এখানেই তাকে মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গেছে ৩০ বছর বয়সী নিহত ব্যাক্তির গৃহবধূও ছিল। তবে খুনী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সে তার স্বদেশীকে হত্যা করেছে। হত্যার পর যেখানে লাশ দাফন করা হয়েছে সে জায়গাটিও সে পুলিশ কে সনাক্তকরণে সহযোগিতা করছে। এসময় যে কাঠের টুকরা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেই কাঠের টুকরা টি উদ্ধার করেছে পুলিশ।