ডেস্ক নিউজ:
স্বাধীন বাংলাদেশ ফেরৎ চেয়ে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা-সভা, প্রত্যাশার পদযাত্রা ও গণ- সংগীতের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরস্থ বিজয়-একাত্তর চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক। এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ বক্তব্য রাখেন।
এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, আবু হেনা মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন সাজু প্রমূখ।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বি এম নাজমুল হক এবং ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভুইয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সাজ্জাদ হোসেন, এবিএম খালিদ হাসান, নাজমুল হুদা অপু, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এএফ ওবায়দুল্লাহ মামুন, এম আমজাদ খান, শ্রমিক নেত্রী বেবি পাঠান এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবু নাসের, ইন্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, মাসুদ জমাদ্দার প্রমূখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে কয়েক হাজার জনতার অংশগ্রহনে প্রত্যাশার পদযাত্রাটি বিজয়নগর-কাকরাইল-পল্টন মোড় ঘুরে আবার বিজয়নগর এসে শেষ হয়।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের রাজনীতি স্বচ্ছ ছিল, জনগণের মনও পরিষ্কার ছিল। আজ ঢাকার নদীর পানি যেমন কালো তেমনি দেশের রাজনীতিও নিকষ কালো রুপ ধারন করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেকেই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে, অনেকে জীবনও দিয়েছে। তারা আমাদের বন্ধু, কিন্তু বন্ধুত্ব মানে নতজানু হওয়া নয়। শর্তহীন অতিরিক্ত বন্ধুত্ব অনেক সময় ক্ষতির কারণ বলেও তিনি সাবধান করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীনতার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের কখনো সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। দেশের কল্যাণে তাদের কাজে লাগানোর দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবি পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, যে উদ্যেশ্যকে সামনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষ জীবন দিয়েছেন, সে উদ্দেশ্যের কোন মূল্যায়ন জাতি পায়নি। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের আলোকে বাংলাদেশ পূনর্গঠনে এবি পার্টি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু বলেন, বিজয়ের ৪ যুগ পেরিয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র এখনো নিখোঁজ। বাক স্বাধীনতা গুম হয়ে আছে। অবাধ নির্বাচন এখন দূ:স্বপ্ন। বিচার বিভাগ ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ। এই অচলাবস্থা নিরসনে ঘুরে দাড়িয়ে বলতে হবে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ ফেরৎ চাই।
পদযাত্রা শেষে বিজয়-৭১ চত্ত্বরে স্থাপিত মঞ্চে গণ-সংগীত পরিবেশন করা হয়। গান পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন শিল্পী।