আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে ফের লকডাউনে মালয়েশিয়া। ৮ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান সেরী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এই ঘোষণা দেন।
দেশটির কুয়ালালামপুর, পুত্রাজায়া, সেলঙ্গর, সাবাহ, জোহর, মালাকা, পুলাউ পেনাং ও লাবুয়ান অঞ্চলে ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি করা হয়েছে ১৪ দিনের মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন (এমসিও)।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে উৎ্পাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, বাণিজ্য ও বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ও পণ্যাদি অপরিহার্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গত মার্চ মাসে সরকার প্রথমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৮ এবং পাশাপাশি পুলিশ অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর অধীনে ধর্মীয়, খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গণসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
সে সময় সুপার মার্কেট, পাবলিক মার্কেট, বিভিন্ন জিনিসপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা দোকান ব্যতীত সব উপাসনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল ।
তবে, সরকার ধীরে ধীরে তা শিথিল করে। বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করে এবং বেশিরভাগ সামাজিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অনুমতি দেয়।
শর্তসাপেক্ষে এমসিও ও পুনরুদ্ধার এমসিওসহ বিভিন্ন ধরনের এমসিওর অধীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফায় করোনা সংক্রমণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা।
সম্প্রতি এ সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়ানোর পর আবারও মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল দেশটির সরকার। এমসিও চলাকালে গেল বছরের মার্চের ন্যায় অরোও ১৪ দিন নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে দেশটির জনগণ ও প্রবাসীদেরকে।