আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ার পাইকারি বাজার ও একটি অ্যপার্টমেন্টে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৯৩ বিদেশীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কুয়ালালামপুরের পুডু এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ২০৫ জন এবং শনিবার সকাল ১১ টায় সেলাঙ্গরের পাইকারি বজার থেকে ৮৮ জনসহ মোট ২৯৩ জন বিদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক হামিদি আদম জানিয়েছেন, অ্যাপার্টমেন্টে থাকা স্থানিয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিওিতে ইমিগ্রেশন,লেবার ডিপার্টমেন্ট ও কুয়ালালামপুর ডিবি কেএলের ১১০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।
“অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসরত মোট ৪২৫ বিদেশির মধ্যে ২০৩ জনের বৈধ কোনো কাগজ পত্র নাথাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুডুর ইকসোরা অ্যাপার্টমেন্টে অভিযানেরপর কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক হামিদি আদম সাংবাদিকদের বলেন,” অভিবাসন আইন ১৯৫৯ / ৬৩৩ (আইন ১৫৫) এর ধারা ১৫ (১) (গ) এবং ৬ (১) (সি) এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি, ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার এবং নেপালি নাগরিক। এদের বেশিরভাগই আশপাশের নির্মাণসাইডে কর্মরত ছিলেন।
এ দিকে শনিবার মালয়েশিয়া সময় সকাল ১১ টায় দেশটির সেলাঙ্গরের পাইকারি বজার থেকে ৮৮ বিদেশি কর্মী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সারডাং জেলা পুলিশ সদর দফতর (আইপিডি)”র ৯২ জন সদস্য ও ১০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে শনিবার মালয়েশিয়া সময় সকাল ১১ টায় বিশেষ অভিযানে অভিবাসী কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের ৭৮ মিয়ানমার, ৮ বাংলাদেশ, নেপালি ও ইন্দোনেশিয়াসহ ৮৮ জন এবং তাদেও ২০ থেকে ৫০ বছরের বলে জনানো হয়।
কি কারনে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সেরডাং জেলা উপ-পুলিশ প্রধান, সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোহাম্মদ রোসদী দাউদ সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বিদেশিরা অবৈধ ভাবে পাইকারি বাজারে ব্যবসা করছে, কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। নেই তাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজ পত্রও।
“জেলা উপ-পুলিশ প্রধান বলেন, পাইকারি বাজারের স্থানিয় ব্যবসায়িদের অভিযোগের ভিওিতে ” অবৈধ ভাবে বিদেশিদের ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি আনডকুমেন্টেড বিদেশি কর্মীরা বাজারে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের আইপিডি সারডাংএ নেয়া হয়েছে এবং সেকসন ৬ (১) সি অভিবাসন আইন ১৯৫৯ / ৬৩ অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইপিডি বিভাগ।