আহমাদুল কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯ শনাক্তে যুক্ত হলো ড্রোন। ভাইরাসের তাপমাত্রা শনাক্তে এ ড্রোন ব্যবহার করছে দেশটির আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ দিকে সংক্রমণ নির্মূলে দেশটিতে চলছে দুই সপ্তাহের কড়া লকডাউন। আর এ লকডাউনের মাঝেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ করতে ড্রোন ব্যবহার করবে বলেও দেশটির পুলিশ শতর্ক করে দিয়েছে।
স্থানিয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার পুলিশ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রকাশ্য স্থানে উচ্চ তাপমাত্রার লোকদের সনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনগুলি, লোকালয় থেকে ২০ মিটার উপরে উচ্চতর তাপমাত্রা সনাক্ত করতে পারে, কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার জন্য একটি লাল আলো নির্গত করে।
এ দিকে ক্রমবর্ধমান প্রতিদিনের সংক্রমণ বন্ধ করার প্রয়াসে ১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আগে মে মাসের শেষদিকে সংখ্যা ছিল ৯ হাজারের এরও বেশি।
যদিও প্রতিদিনের শনাক্তের হ্রাস পেয়েছে, তবুও স্বাস্থ্য মহাপরিচালক নূর হিশাম আবদুল্লাহ সতর্ক করেছেন, নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সিংহভাগই অজানা যোগাযোগের কারণে। “ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে নূর হিশাম আব্দুল্লাহ বলেছেন,” এর অন্যতম কারণ হ’ল সম্প্রদায়ের নতুন রোগের উত্থান যার উচ্চরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর হার রয়েছে”।
এ দিকে চলমান লকডাউন নিয়মের অধীনে, প্রতিটি পরিবারের কেবল দু’জন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। লকডাউনে বন্ধ রয়েছে স্কুল এবং শপিংমলগুলি। খোলা রাখা হয়েছে উৎপাদন খাতের বেশিরভাগই। তবে কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে অল্প কর্মীদের নিয়ে।
এর আগে মালয়েশিয়ার পুলিশ সতর্ক করেছে, তারা পূর্বের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর করতে ড্রোন ব্যবহার করবে, কিছু কিছু অঞ্চলের শাসকরাও বলেছেন, লোকেরা নিয়ম অনুসরণ করছে তা নিশ্চিত করার জন্য তারা অবাক করা হোম ভ্রমণ করবেন।
চীন ভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টার অংশ হিসাবে গত বছর ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে।
তেরেংগানু রাজ্যের পুলিশ প্রধান রোহাইমী মোঃ ওংধসা জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছেন। “যদিও আমাদের ১৫৭ টি মনিটরিং দল রয়েছে, তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে। জনসাধারণের স্থানে লক্ষণীয় ব্যক্তিদের সনাক্ত করা সহ তারা একসাথে প্রতিটি অবস্থান নিরীক্ষণ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান।
এ দিকে সোমবার ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮২ জন। এ নিয়ে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩ হাজার ৪৬০ জন। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ২২ হাজার ৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৭ জন।